ওয়ার্ডপ্রেস কি? কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস থেকে ইনকাম করবেন?
ওয়ার্ডপ্রেস কি? কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস থেকে ইনকাম করবেন?
আসসালামু আলাইকুম,
আমরা যারা প্রতিনিয়ত ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়? এই বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে খুজাখুজি করি, তখন আমাদের সবার সামনে একটি নাম বারবার চলে আসে আর সেটি হচ্ছে- ওয়ার্ডপ্রেস। ইনফ্যাক্ট যারা একটু এডভান্স তারা অনেকেই হয়তো জানি, যে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। কিন্তু,কীভাবে? তার সবকিছুই জানবো আজকের পোস্টে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
ওয়ার্ডপ্রেস কি?
ওয়ার্ডপ্রেস হলো, বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ ওয়েবসাইট তৈরির সফটওয়্যার, বা অনলাইনে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করার সবচেয়ে জনপ্রিয় টুল। মেটমলিন ওয়েব ২০০৩ সালে প্রথম এই ওপেনসোর্স সফটওয়্যার টি পাবলিশ করে। তারপর থেকে ওয়ার্ডপ্রেস বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সিএমএস প্লাটফর্ম বা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে এখন পর্যন্ত ওয়ার্ডপ্রেস সর্বাধিক জনপ্রিয় সিএমএস উইথ ৬৩%সিএমএস মার্কেট শেয়ার ইনফ্যাক্ট পুরো world-wide-web ইন্টারনেটের ৩৫% এরও বেশি ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস পরিচালনা করে এর মানে হচ্ছে, আপনি যদি দুই থেকে তিনটি ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকেন তার মধ্যে একটি ওয়েবসাইট পেজ দ্বারা চালিত। ওয়ার্ডপ্রেস এর সাহায্যে আপনি তৈরি করতে পারেন পার্সোনাল ব্লগ, ই-কমার্স, বিজনেস ওয়েবসাইট, জব পোর্টাল, ভিডিও শেয়ারিং, অল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট, ইন্টারটমেন্ট এন্ড নিউজ, রিয়েল এস্টেট, হোটেল ম্যানেজমেন্ট অফ হোটেল বুকিং সিস্টেম, ইভেন রেজিস্ট্রেশন, ফ্যাশন টেকনোলজি পর্টফলিও ফর্ম অফ মেম্বেরশিপ সাইট। আপনি আপনার কল্পনার যেকোনো কিছুই কয়েক মিনিটের মধ্যে বাস্তবে রূপান্তর করতে পারেন ওয়ার্ডপ্রেস এর সাহায্যে। ওয়ার্ডপ্রেস ইজ টোটাল ফ্রী। আমাদের সবার মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে- যে, ওয়ার্ডপ্রেস কেন ফ্রী? কারণ ওয়ার্ডপ্রেস হলো, একটি ওপেনসোর্স অনলাইনে ওয়েবসাইট তৈরির সফটওয়্যার যা পিএইচপি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। থ্যাংকস টু ইউ, open-source কমিউনিটি সারাবিশ্বে হাজার হাজার ডেভলপার অফ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত এই ওয়ার্ডপ্রেস কে আর ও শক্তিশালী নতুনদের স্বার্থে সহজ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ওয়ার্ডপ্রেস সবচেয়ে বড় ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে, আপনি এইরকম একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন শুধুমাত্র একটি ক্লিক করে। এ আই ইউ হার্ড রাইট wordpress.ore ভিতরে প্রায় 4 হাজার প্লাস ফ্রি কল থিমস ইন এন্ড 55 হাজার + ফ্রী ফাংশনালিটি কল প্লাগিন অ্যাভেলেবল। প্লাগিনগুলো অন্যান্য সিএমএস এর তুলনায় ওয়ার্ডপ্রেসকে আরো বেশি শক্তিশালী করে তোলে এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস 100 টিরও বেশি ভাষায় তাদের সার্ভিস দিয়ে থাকে। জাস্ট বিকোজ এটি একটি অনলাইন সার্ভার বেস সফটওয়্যার। এতে করে আপনি যে কোন জায়গা থেকেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। আপনার সুযোগ কেবলমাত্র একটি ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে কাজ করে?
কয়েক বছর আগেও যদি কেউ ওয়েবসাইট তৈরি কথা চিন্তা করত। তাহলে তার মাথায় প্রথমেই আসতো HTML, CSS, PHP, JAVASCRIPTএন্ড দা মোস্ট ইম্পর্টেন্ট ডাটাবেজ। ডাটাবেজ দেখার পর অনেকেই হয়তো শুরু থেকে ওয়েবসাইট তৈরি বা ম্যানেজমেন্ট করার কথা চিন্তাও করে না। কারণ, ডাটাবেস শুরুতে নতুনদের জন্য একটু কমপ্লিকেটেড বাট ডাটাবেস সম্বন্ধে প্রপার্ট নলেজ গেদার করার পর এটি এত জটিল মনে হবে না। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস কোডিং বাদে আর সবই একই রকম এটির মানে হচ্ছে, ওয়ার্ডপ্রেস অটোমেটিকলি আপনার জন্য সব ধরনের করিম ও ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট করবে। আপনার শুধু ওয়ার্ডপ্রেসের ভাষায় ওয়ার্ডপ্রেস কমান্ড করতে হবে এবং ওয়ার্ডপ্রেস আপনার জন্য সকল ধরনের কোডিং করে যাবে। এটি হচ্ছে, ওয়ার্ডপ্রেস এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ যে আপনাকে কখনো কোডিংয়ের স্পর্শ করার দরকার নেই।
আপনি কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন:
ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনার লাগবে একটি ডোমেইন নেইম ও একটি হোস্টিং সার্ভার।
ডোমেইন নেইম হচ্ছে, আপনার ওয়েবসাইটের এর এড্রেস বা ইউ আর এল যার মাধ্যমে এ ডিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে এ ভিজিট করতে পারবে। For example: amishikbo.com
ওয়েব হোস্টিং হচ্ছে, ওয়েব হোস্টিং হলো,একটি secure জায়গা যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত ডেটা এবং ফাইল সঞ্চিত থাকবে এবং আপনার ওয়েবসাইট ২৪/৭ ম্যানেজ করবে। এখন প্রায় প্রতিটি বড় বড় ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি তাদের সার্ভারে আগে থেকেই ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়্যারটি ফ্রি ইন্সটল করে রাখে। শুধু মাত্র একটি ক্লিকের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে পারেন। এরপর আপনার বিজনেস বা রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী থিম সিলেক্ট করুন এবং সেটি ইন্সটল করুন।
এরপর আপনার লোগো টেক্সট গুলো 3 থেকে 5 মিনিট কাস্টমাইজ করার পরেই আপনার ওয়েবসাইট রেডি এন্ড লাইভ অন ইন্টার্নেট তবে গুগোল এ ওয়াডপ্রেস লিখে সার্চ দিলে আপনি কিসের কনফিউজ হতে পারেন। কারণ, wordpress.com wordpress.org সুতরাং আমার পরবর্তী আমি wordpress.com ভস wordpress.org সম্পর্কে বর্ণনা করব albd.org যে কোন প্রকার গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট ফাইবার রিলেটেড কোশ্চেন অনলাইন ক্যারিয়ার গাইডলাইন এর জন্য ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন জয়েন গ্রুপ এর লিংকটি নিচে ডিসক্রিপশন বক্স ও প্রথম কমেন্টে দেয়া আছে আন্ডারস্ট্যান্ড ইউ লাইক দিস কনসিলার সাবস্ক্রাইব অ্যান্ড লাইক বাটন ফর ইউটিউব এ লিটল হেলপ মাই চ্যানেল থ্যাংক ইউ সো মাচ ফর ওয়াচিং ভিডিও।
কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস থেকে ইনকাম করবেন?
(১) ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট:
আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ভালো করে শিখতে পারেন, তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরী করে দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে দুই ধরনের ওয়েবসাইট বানানো যায়
- একটি হচ্ছে কাস্টম ওয়েবসাইট
- আরেকটি হচ্ছে রেডিমেড থিম দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কাস্টমাইজ ওয়েবসাইট তৈরী করা জন্য অবশ্যই আপনাকে ওয়েব ডিজাইন এবং প্রোগ্রামিং ভাষা শিখতে হবে। না হলে আপনি কাস্টম ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন না, অনেক সময় ক্লায়েন্ট একটি ডিজাইন দিয়ে বলতে পারে যে এই ডিজাইন টি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ওয়েব সাইট বানিয়ে দিতে। তখন আপনাকে অবশ্যই কাস্টম কোডিং করে ওয়েবসাইট টি বানিয়ে দিতে হবে। আর এটি করার জন্য আপনাকে কিছু ভাষা শিখতে হবে, প্রোগ্রামিং ভাষা। যেই যেই ভাষা শিখতে হবে ৎসেটি হচ্ছে:-
- প্রথমে আপনাকে এইচটিএমএল শিখতে হবে
- এরপর সিএসএস
- এরপর জাভাস্ক্রিপ্ট জেকোয়েরি
- এরপর বুটস্ট্র্যাপ
- এরপর পিএইচপি এরপর ওয়ার্ডপ্রেসের ফাংশন ফিল্টার
একটি কাস্টম ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে এগুলো শিখতেই হবে। এরপর আসে রেডিমেড থিম দিয়ে ওয়েবসাইট, আপনার যদি কোডিং পছন্দ না হয় বা কোনো কারণে কোডিং শিখতে ভালো না লাগে, তাহলে আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের রেডিমেড থিম দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেসের অনেক রেডিমেড থিম আছে যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে ও প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলা যায়। আপনি শুধু এই থিমগুলোর ওয়েবসাইটে ইন্সটল করে একটিভ করবেন, এরপর ডেমো ইনপুট করে নিজের মতো করে ওয়েবসাইটি কাস্টমাইজ করে নিবেন।
তবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন এবং ওয়ার্ডপ্রেস পেজ বিল্ডার দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন কিভাবে করতে হয়, সেটা শিখতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস থিমের কোথায় কোন অপশন আছে, থিম হেডার, ফুটার, কিভাবে কাস্টমাইজ করতে হয় এগুলো শিখতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই যেকোন ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে।
এখন এখানে একটা প্রশ্ন আছে সেটা হচ্ছে:- ওয়ার্ডপ্রেস থিম ব্যবহার করেই যদি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলা যায় তাহলে কোডিং শিখতে হবে কেন? উত্তর হচ্ছে আপনি যদি কোডিং শিখতে পারেন তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যে কাস্টম ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, সেগুলোর বাজেট অনেক থাকবে, একটি প্রজেক্টে আপনি ৫০০ থেকে ৬০০ ডলার বা তার বেশিও চার্জ করতে পারবেন। যেটা কিন্তু একটি ওয়ার্ডপ্রেস থিম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করলে কখনোই পাওয়া যাবে না, একটি ওয়ার্ডপ্রেস থিম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করলে, সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায় এভারেজে, এর বেশিও পাওয়া যায় আপনার যদি স্ক্রিল এবং এবং এক্সপেরিয়েন্সড অনেক বেশি থাকে।
(২) ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম:
আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করেও ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অনেকগুলো ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য জব পোস্ট হয়ে থাকে, যেমন ফাইবার, ফ্রিল্যান্সাররা, পিপল পার আওয়ার, এগুলো অনেক বেশি জনপ্রিয়। এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস স্কিলটাকে সার্ভিস হিসেবে অন্যদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে, থিম কাস্টমাইজেশন বাগ বা প্রবলেম ফিক্সিং ওয়েবসাইট পারফরম্যান্স এবং এসইও ,ল্যান্ডিং পেজ ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটলেশন, সেটআপ, ওয়েবসাইট ব্যাকআপ এবং ট্রান্সফার, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট সিকিউরিটি সহ ওয়ার্ডপ্রেস এর প্রায় সকল ক্যাটাগরি ই কাজ পাওয়া যায়
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফাইবার মার্কেটপ্লেস অনেক জনপ্রিয়, যেখানে ৫ ডলার থেকে শুরু করে ৫০০০ ডলার এর বেশি কাজ পাওয়া যায় ওয়াডপ্রেস এর উপরে। আপনি যদি একদম নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ ট্রাই করতে পারেন। সাইবার মার্কেটপ্লেসে গিয়ে সার্চ বারে ওয়াডপ্রেস লিখে সার্চ দেন আপনি, তাহলে দেখতে পাবেন ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে প্রায় এক লাখের মতো কাজ আছে, এটা তো শুধুমাত্র একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের কথা বললাম, এগুলো ছাড়াও upwork, পিপল পার আওয়ার, এই ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসগুলোতে ও ওয়ার্ডপ্রেসের অনেক চাহিদা। প্রতিদিন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ক্লাইন্টরা এখানে এসে ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে তাদের যে কাজগুলো করানোর প্রয়োজন সেগুলো পোস্ট করে এবং নানান দেশের ফ্রিল্যান্সাররা জবগুলো করে থাকে, যাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। তাই আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ভালোভাবে শিখতে পারেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করেও মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
(৩) ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে সফটওয়্যার তৈরি করে ইনকাম:
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আরো একটি জনপ্রিয় ইনকামের পথ হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস এর প্রোডাক্ট তৈরি করা, আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এর যতগুলো থিম প্লাগইন pes builder দেখতে পান এগুলো, প্রফেশনাল ওয়ার্ড পেজ ডেভলপাররা তৈরি করেন, আপনি যদি কোডিং শিখেন তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস এর জন্য সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবেন এবং সেই সকল সফটওয়্যার বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস এর প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য বর্তমানে অনেক ডিজিটাল মারকেটপ্লেসেস রয়েছে যেমন থিমফরেস্ট, ক্রিয়েটিমার্কেট, টিমপ্লেট মনস্টার এগুলোর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হচ্ছে থিমফরেস্ট মার্কেটপ্লেস টি, এই মার্কেটপ্লেসে পৃথিবীর বড় বড় ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার রা তাদের তৈরি করা থিম বিক্রি করে থাকে, বিভিন্ন কোম্পানির বায়াররা তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য এখান থেকে ওয়ার্ডপ্রেস থিম কিনে নেয়। যেগুলো বেসিকালি প্রিমিয়াম থিম। অন্যসব মার্কেটপ্লেস থেকে এই মার্কেটপ্লেসের থিমগুলোর ডিজাইন কোয়ালিটি অনেক উন্নত এবং প্রফেশনাল
থিম ফরেস্ট এ গিয়ে আপনি যদি ওয়াডপ্রেস ক্যাটাগরিতে ক্লিক করেন, তাহলে দেখতে পাবেন প্রায় সব ক্যাটেগরির থিম আছে যেমন বিজনেস, ব্লগ বা ম্যাগাজিন, ই-কমার্স, এডুকেশন, রিয়েলষ্টেট, non-profit অর্গানিজেশন, এন্টারটেইনমেন্ট সহ টেকনোলজি রিলেটেড ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস থিম বিদ্যমান। প্রতি সপ্তাহে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপাররা নতুন নতুন থিম পাবলিশ করে থাকে। আপনি নিজের ওয়ার্ডপ্রেস থিম বা প্লাগিন তৈরি করে এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিক্রি করার জন্য লিস্টিং করতে পারেন। যখন কোন বায়ার আপনার ডেভলপ করা থিমটি কিনবে তখন প্রতি মাসে ইনকাম হতে থাকবে, তবে অবশ্যই এ তৈরি করা থিমটির ডিজাইন টা যেন প্রফেশনাল এবং অন্য সব থিম থেকে একদম ভিন্ন হয়, তাহলে বিক্রি হওয়ার চান্স অনেক বেশি থাকবে। আপনার মার্কেটিং করার কোন প্রয়োজন হবে না।
(৪) অন্যদের ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ইনকাম:
ফ্রিল্যান্সিং, ওয়ার্ডপ্রেস প্রোডাক্ট তৈরি এবং ওয়াডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করার পাশাপাশি আপনি অন্য কিছু শিখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। এমন অনেকে আছে যারা ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে আগ্রহী কিন্তু সেখানে জন্য সঠিক গাইডলাইন টা প্রয়োজন সেটা পাচ্ছেনা, আপনি একজন ট্রেনার হিসেবে তাদের ওয়ার্ডপ্রেস শিখাতে পারেন এবং সম্মানী হিসেবে অথবা কোর্স ফি হিসেবে তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিতে পারবেন। অন্য দের ওয়ার্ডপ্রেস শেখানোর অনেকগুলো উপায় আছে যেমন:
- নিজে ভিডিও তৈরি করে।
- কোন প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ডপ্রেস ট্রেনের হিসেবে জয়েন দিয়ে।
- অথবা অনেক ই-লার্নিং মার্কেটপ্লেস ও আছে যেখানে আপনার তৈরি করা ভিডিও কোর্স পাবলিশ করতে পারেন, পরবর্তীতে কেউ যদি আপনার কোর্স এ ভর্তি হয় তাহলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনার একাউন্টে জমা হয়ে যাবে।
(৫) ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম:
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যেহেতু আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন, তাই এই ওয়ার্ডপ্রেসকে ব্যবহার করে ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে হ্যান্ডসাম একটি ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বড়, প্রতিনিয়ত ওয়ার্ডপ্রেস এর উপরে বিভিন্ন কনটেন্ট ওয়েবসাইটে এবং ইউটিউবে পাবলিশ হচ্ছে। আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি ব্লগ ওয়েবসিতে তৈরি করতে পারেন এবং সেই ব্লগে ওয়াডপ্রেস রিলেটেড বিভিন্ন কনটেন্ট পাবলিশ করতে পারেন, আপনার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে। একটা সময় যখন আপনার সেই কনটেন্ট পড়ার জন্য ভিজিটর আসা শুরু করবে, তখন আপনি গুগল এডসেন্স বা অন্য কোনো অ্যাড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ওয়েবসাইটস মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগে কি ? ব্লগিং করে কিভাবে ইনকাম করতে হয়? এই নিয়ে কমপ্লিট পোস্ট পাবলিশ করা আছে, তাই আপনি যদি একদম নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই তাহলে এই ব্লগিং সেক্টর সম্পর্কে আপনার ধারণা হয়ে যাবে। তাই আমি আর এখানে বিস্তারিত বলছিনা।
ব্লগিং এর পাশাপাশি অ্যাফিলিয়ে মার্কেটিং করেও ইনকাম করতে পারেন, ওয়াডপ্রেস প্রিমিয়াম থিম নিয়ে নিজের ওয়েবসাইটে রিভিউ লিখতে পারেন। এবং প্রতিটা রিভিউ এর নিচেই এফিলিয়েট লিংক দিয়ে দিতে পারেন। পরবর্তীতে কেউ যদি আপনার লিংকের মাধ্যমে কোন থিম বা প্লাগিন কিনে, তাহলে আপনি সেই প্রোডাক্ট এর উপর একটি আফিলিয়েট কমিশন পাবেন, তবে এর জন্য অবশ্যই আগে কোম্পানির এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ জয়েন হতে হবে আপনাকে।
(৬) কোম্পানিতে জব করে ইনকাম:
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করার আরেকটি উপায় হচ্ছে কোন কোম্পানিতে ফিক্স জব করে ইনকাম করা। কোম্পানির ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা, ওয়েবসাইট এ কোন এরর দেখা দিলে সেটা সলভ করা, নতুন কন্টাক্ট পাবলিশ করা, ওয়েবসাইটে আপ টু ডেট রাখা ইত্যাদি কাজ করার জন্য যে কোন কোম্পানিতে একজন প্রফেশনাল ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসেবে জয়েন হতে পারেন। আর যেহেতু এটা ডিজিটাল সার্ভিস তাই বাংলাদেশ সহ যে কোন দেশের কোম্পানি তে আপনি একজন প্রফেশনাল ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসেবে জয়েন দিতে পারেন। ফিক্স জব করার জন্য লিঙ্কডইং অনেক বড় একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম, এখানে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশে্য কোম্পানির তাদের ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনার জন্য জব পোস্ট করে থাকে, সেখানে এপ্লাই করার সেই জবগুলো করতে পারেন।
সর্বশেষ কথা:- তো পাঠক এই ছিল কিভাবে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারেন তার জনপ্রিয় কিছু উপায়। পোস্টটি কেমন লাগলো জানাতে পারেন কমেন্ট সেকশনে আর আপনি যদি এমনই আনকমন এবং ইন্টারেস্টিং পোস্ট করতে পছন্দ করেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে আবারো নতুন কোন ইন্টারেস্টিং পোস্টে সবার সাথে সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন ধন্যবাদ।
Leave a Comment